MANGOE CALENDER OF BANGLADESH
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখন জ্যৈষ্ঠ মাস যেটি বাঙালীর কাছে পরিচিত মধুমাস হিসেবে। এ মাসের শুরু থেকেই বাজারে আসে আম, লিচু, জাম, কাঁঠালসহ নানা সুস্বাদু ও রসালো মৌসুমী ফল।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে গাছ থেকে পাকা আম নামানোর যে ক্যালেন্ডার ঠিক করেছে সরকার - তাতে ১৫ই মে থেকে গুটি আম, আর ২০শে মে শুরু হয়েছে গোপালভোগ নামানো।
এরপর জুলাই এবং আগস্ট পর্যন্ত ধাপে ধাপে আসবে লক্ষ্মণভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি জাতের আম নামানোর পালা। কিন্তু ক্রেতারা আমের এ ক্যালেন্ডার সম্পর্কে কতটা সচেতন, কিংবা বাজারের আম কেনা নিয়ে তাদের মনোভাবই বা কেমন ?
জবাবে বনশ্রীর অধিবাসী সায়মা হক বলেন, "আমার প্রিয় ফল আম। এখন আমের মৌসুম। কিন্তু ভয়ে থাকি যে আম ফরমালিন দেয়া কিনা বা গাছ থেকে পাড়া ভালো আম কি-না"।
তিনি বলেন, ক্যালেন্ডার ঠিক করলেও তার মনে হয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ঔষধ ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করেনি।
একই এলাকার নীলুফার আক্তারও জানালেন তার উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার কথা।
তিনি বলেন, "পত্রিকায় দেখি মেডিসিন দেয়া। বুঝতে পারিনা যে কোন ফল খাবো। এসব নিয়ে ভয়ে থাকি"।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই আমে ক্ষতিকর ঔষধ মেশানো নিয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বেশ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবারও চারশো মণ আম ধ্বংস করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঔষধ ব্যবহার করে পাকানোর কারণে।
তবে ওই এলাকার একজন ফল বিক্রেতা কালু মিয়া বলছেন, আমের বিষয়ে তারাও এখন অনেক সতর্ক, এমনকি বিপদ এড়াতে বাগান থেকে সরাসরি আম সংগ্রহের প্রবণতাও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাড়ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশী আম কিনে ক্রেতাদের এখন আর প্রতারিত হবার সুযোগ নেই।
বিক্রেতাদের এসব কথায় কতটা আস্থা ক্রেতাদের ?
টেলিকম কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী বলছেন, শুধু আম নয় - মৌসুমি ফল কেনার ক্ষেত্রে সচেতনতা অনেক বেড়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, "বিক্রেতারাও এখন জানে যে ঔষধ দিয়ে ঝকঝকে-তকতকে করা আম পছন্দ করেনা। বরং সোর্স অর্থাৎ বাগান থেকে আনা আম যেগুলো কাঁচা, পাকা বা জেনুইন মনে হয় - সেগুলোই আমরা কেনার চেষ্টা করি"।
জবাবে ব্যাংক কর্মকর্তা হাসনাত রেজা বলছেন, ফরমালিনের জন্য এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে মূলত বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই বাজার থেকে ফল কিনতে হয়।
"নিজেরা তো বুঝতে পারি না। তাই দোকানদারকেই অনুরোধ করে বলি যে ভাই ফলটা ভালো হলে দেবেন। শুধু খুচরা দোকান নয়, বড় রিটেইল শপগুলোতেও একই অবস্থা। বিশ্বাস করা কঠিন"।
মিস্টার রেজা বলছেন, আম বাজারে আসার ক্যালেন্ডারের ব্যাপক প্রচার হলে এটি ক্রেতাদের জন্য সঠিক সময়ে বিষমুক্ত আম কেনায় দারুণ সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন তিনি।
No comments